বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ৩০ জনকে অপ্সাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২ অক্টোবর) ফজলে রাব্বি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায়, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ একেএম শামীম ওসমান সহ অয়ন ওসমান, পিতা একেএম শামীম ওসমান। মিজানুর রহমান মিজান, পিতা মৃত শাহাবুদ্দিন মিয়া, স্থায়ী সাং জামতলা, থানা- ফতুল্লা। মতিউর রহমান মতি, ৬নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর। মহসিন ভূইয়া, পিতা লালচান ভূইয়া, স্থায়ী সাং ভূহায়াপাড়া (৮নং ওয়ার্ড)। সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, পিতা লালচান ভূইয়া, ভূহায়াপাড়া (৮নং ওয়ার্ড), থানা সিদ্ধিরগঞ্জ। হাবিবুর রহমান হাবিব বালু হাবি, (সাবেক রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান), স্থায়ী সাং রূপসী, থানা রূপগঞ্জ। কামাল হোসেন মোল্লা, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা, পিতা মৃত সিদ্দিকুর রহমান, স্থায়ী সাং তল্লা চেয়ারম্যান বাড়ী সংলগ্ন। কামাল হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ পিতা মৃত লাল চান ডিলার, স্থায়ী সাং পশ্চিম তল্লা, ৪ তলা সংলগ্ন। হাসান, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা, পিতা মৃত হানিফ মিয়া, স্থায়ী সাং দক্ষিণ কায়েমপুর, থানা ফতুল্লা। ফারুক, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা, পিতা- মৃত হানিফ মিয়া, স্থায়ী সাং দক্ষিণ কায়েমপুর, থানা ফতুল্লা, শাকিল, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা, পিতা আব্দুস সালাম মাষ্টার, স্থায়ী সাং দক্ষিণ কায়েমপুর, থানা ফতুল্লা। আজমেরী ওসমান, পিতা মৃতঃ একেএম নাসিম ওসমান। শাহ নিজাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, মহানগর আওয়ামীলীগ। আঃ খালেক মুন্সি, সভাপতি, ৫নং ওয়ার্ড কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ, সাং মুন্সিবাগ, কুতুবপুর, থানা ফতুল্লা। আঃ মালেক মুন্সি, যুবলীগ ক্যাডার, পিতা মৃত খবির মুন্সি, স্থায়ী সাং মুন্সিবাগ, কুতুবপুর, থানা ফতুল্লা। আল আমিন মির্জা, যুবলীগ ক্যাডার, পিতা আঃ হাকিম, স্থায়ী সাং মাসদাইর, লিচুবাগ, থানা ফতুল্লা। মুরাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা, পিতা আলমাছ, স্থায়ী এতিমখানা, পঞ্চবটি, থানা ফতুল্লা সহ ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০/৩০ জনের অজ্ঞাত নামে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে ফজলে রাব্বি উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট সিদ্ধিগঞ্জে জালকুড়ি ফজর আলী মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সাথে তিনিও অংশগ্রহণ করেন। আসামিরা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রিভলবার, সেমি অটোমেটিক মেশিনগান, শটগান, রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল, তলোয়ার ও ককটেল বোমাসহ সজ্জিত হয়ে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে অনবরত গুলি বর্ষণ করতে থাকে ছাত্র-জনতার সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত দাবি থেকে বিতাড়িত করার জন্য। এ সময় দুই নম্বর আসামি অয়ন ওসমানের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোঁড়া গুলিতে বাদীর বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মন্তব্য করুন