আলোকিত নারায়নগঞ্জ ঃ
করোনা ভাইরাস চীন থেকে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, সেই ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে দেশ কবে মুক্ত হবে সেটা বলা যায় না। তবে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বছরের শেষ দিন চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এরপর বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির কারণে গোটা বিশ্বে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
রাজধানী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ গত ২৬ এপ্রিল রবিবার করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। বর্তমানে তার স্ত্রী উমা রানী ঘোষ ও ছেলে উদয় ঘোষ গত কয়েকদিন যাবৎ করোনা রোগে আক্রান্ত। তারা এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার পরিবার সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তারা তাতী বাজার এলাকার ৫৯ নং বাড়ির ভাড়াটিয়া।
জানা গেছে গত কয়েকদিন যাবৎ মৃত সঞ্জয় ঘোষের স্ত্রী উমা ঘোষ ও তার ছেলে করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়া স্বত্ত্বেও তারা কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। তাদের অবস্থা দিন দিন খারাপ থেকে অধিকতর খারাপ হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে তাদের বাচানো সম্ভব হবে না। তারা প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় যোগাযোগ করেছেন কিন্তু কোনো সহযোগীতা পাননি। সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসও তাদের কোন খোজ খবরই নিচ্ছেনা ।
পরিবারের লোকজন জানান, আমার দিদির আর তার ছেলে দুজনেই কোরোনা পজিটিভ । এখন আমার দিদির শরীর খুব খারাপ কোন হসপিটাল ভর্তি নিচ্ছে না, কেউ কোন সাহায্য করছে, সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রঞ্জন বিশ্বাসও কোনো ধরনের সাহায্য করছে না, এমন কি পুলিশ প্রশাসনও কোন সাহায্য করছে না । আমরা করোনা হটলাইন নাম্বার গুলোতেও ফোন করেছি কিন্তু কেউ ফোন ধরছে না। আপনারা যদি কেউ কোন সাহায্য করতে পারেন তাহলে আমার বড় বোন আর আমার ভাগিনা টা বেঁচে যাবে । অনুরোধ রইলো সবার কাছে তাদের যেন সঠিক চিকিৎসা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে এ দুর্যোগ মুহুর্তে জনগনের পাশে দাড়াবার অঙ্গিকার নিলেও সেই জনপ্রতিনিধরাই উধাও হয়ে গেছে। এই মহাদুর্যোগে তাদের দেখা পাচ্ছে না জনগণ, জনপ্রতিনিধিদের দরজায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে বড়সড় তালা। চরম বিপাকে পড়া মানুষগুলো এখন জনপ্রতিনিধিদের দেখা না পেয়ে চরম হতাশায় ভুগছে। এইসব জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে প্রথম ২/১ দিন কিছু নেতাকর্মী সচেতনতার নাম দিয়ে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করলেও এখন তারাও ঘরে উঠে গেছেন। এভাবে জনগনকে বিপদে রেখে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে আত্মগোপনে থাকা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসকে তার মুঠোফোন কল করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন কোনো কথা বলতে পারবো না আমি খুবই ব্যস্ত।