আলোকিত নারায়ণগঞ্জ, মো: সাইফুল ইসলাম সায়েমঃ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও ঘরবন্দী অসহায় মানুষকে সহায়তায় আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম নিয়েছেন বিভিন্ন উদ্যোগ। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি এ ইউপি চেয়ারম্যান ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করেছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে ইউনিয়নের কর্মহীন মানুষকে কখনো নিজ অর্থায়নে, কখনো সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আবার কখনো অন্য দানশীল ব্যক্তির ব্যক্তিগত অনুদানে এ খাদ্য সহায়তা তালিকা অনুসারে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।
এ ছাড়া নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গ্রামে গ্রামে গঠন করেছেন কমিটি। বাজারগুলোতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে নিয়মিত করছেন মনিটরিং। ক্রেতা-বিক্রেতাদের বার বার সচেতন করছেন এবং নিরাপদ দুরত্বে থেকে কেনাকাটার পরাশর্শ দিচ্ছেন। বাজারে প্রবেশ ও বের হতে বাধ্যতামূলক হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। জীবাণুমুক্ত রাখতে ইউনিয়নের সর্বত্র চলছে স্প্রে। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে চলছে কঠোর নজরদারি। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা মেনে চলতে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করতে কাজ করছেন সিরাজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সারা পৃথিবী এক ভয়াবহ পরিস্থিরি মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বৈশ্বিক এ দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানোর সময়। প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন মানবিকতার পরিচয় দিতে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব। আমার ইউনিয়নে সাতজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, যাদের মধ্যে চারজনই আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবুর দিক নির্দেশনায় জনগনের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
এ সময় তিনি সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। নিয়মিত খোজ-খবর রাখছেন, ইউনিয়নের কেউ যেন না খেয়ে সে বিষয়ে তদারকি করছেন।
চেয়ারম্যান বলেন, নিজ উদ্যোগ ও স্থানীয়দের সহায়তার মাধ্যমে সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যতদূর সম্ভব মানুষের সেবা করব।
ইউনিয়নবাসীসহ সমগ্র দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেহেতু করোনা মোকাবেলায় এখনো কার্যকরী কোনো ঔষুধ আবিস্কৃত হয়নি। তাই অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সকলকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ঘরে থাকুন নিরাপদ থাকুন। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না। নিজের পরিবার, দেশ ও জাতিকে সঙ্কটে ফেলবেন না।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সকলের উচিত সচেতনভাবে কাজ করা। সংকট মোকাবেলায় স্থানীয়ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এখন পর্যন্ত সরকারীভাবে প্রাপ্ত ২২৫০ প্যাকেট ও নিজ্ব তহবিল এবং দানশীল ব্যক্তি, সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ৭ হাজার ৩শ প্যাকেট খাদ্যের উপহার সামগ্রী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিয়েছেন।
এছাড়া, লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোর খাদ্যের ব্যবস্থা করাসহ সার্বিক খোজ-খবর রাখছেন এ চেয়ারম্যান। করোনা পরিস্থিতির শুরুর দিকে প্রায় পাঁচ হাজার সাবান, তিন হাজার মাস্ক ও তিন হাজার হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করেছেন।