আলোকিত নারায়ণগঞ্জ, শিহাব আহমেদঃ
দুই বছর আগে বাংলা সিনেমার অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ঘোষনা করে তারা এবার তৈরি করবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যায়বহুল ছবি “মাসুদ রানা”।ইতিমধ্যেই সবার জানা হয়ে গেছে হলিউডের সাথে যৌথভাবে তৈরি করা হবে “মাসুদ রানা‘৷
বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যায়বহুল ছবিটির বাজেট ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা৷ ছবিটি নির্মিত হবে ‘এম আর নাইন’ নামে। পরিচালনা করবেন আসিফ আকবর। ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের অন্যতম নারী সঙ্গী নবনীতা চরিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন চট্টগ্রামের মেয়ে সৈয়দা তৌহিদা হক অমনি কিন্ত দুই বছর পর পাড় হয়ে গেলেও এই ছবির নায়ক কে হবেন তা সবার কাছে ছিল অজানা।
চরিত্রটির জন্য চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে মিলে আয়োজন করা হয় ‘কে হবে মাসুদ রানা’ রিয়েলিটি শো। সেই রিয়েলিটি শো নিয়েও সমালোচনা কম হয় নাই। বিশেষ করে সেই অনুষ্ঠানের বিচারকরা অনেক সমালোচিত হয়েছেন৷ অনেক আলোচনা সমালোচনার মধ্য দিয়ে এই শো শেষ হলেও সেই অনুষ্ঠানের বিজয়ীরা কেউই ‘মাসুদ রানা’ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছেন না।
অনেক জল্পনা কল্পনার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে জানা গেল, এবিএম সুমন হচ্ছেন ‘মাসুদ রানা’। দর্শকদের বহুল প্রতিক্ষার পর বুধবার এবিএম সুমনের জন্মদিনে জাজ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল। সেখানে জানানো হয়, কয়েক মাস অডিশনের পর সুমনকে চূড়ান্ত করা হয়। করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এই সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে৷
স্থির চিত্রের মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবিএম সুমন এরপর ২০১৫ সালে ‘অচেনা হৃদয়’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনেতা হিসেবে চলচিত্রে নাম লেখান এই সুদর্শন অভিনেতা৷এখন পর্যন্ত তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন।যদিও তিনি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে আশফাক চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন৷অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শক, পরিচালক, প্রযোজনা সংস্থা সহ সকল মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন তিনি৷ তাকে বাংলা সিনেমার ভবিষ্যত হিসেবে মনে করছেন অনেকে৷
এখন দেখার পালা পর্দায় তিনি নিজেকে মাসুদ রানা হিসেবে দর্শকদের সামনে কতটা মেলে ধরতে পারেন। এবিএম সুমন অভিনীত বেশকিছু ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে যার মধ্যে তানিম রহমান অংশুর ‘আদি’, সোহেল আরমানের ‘ভ্রমর’, মাহমুদ দীদারের ‘বিউটি সার্কাস’ এবং মুক্তিযুদ্ধ কালীন গল্প নিয়ে নির্মিতব্য ‘দাহকাল’। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই ছবিগুলো মুক্তি পেলে তার ক্যারিয়ারে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা।