আলোকিত নারায়নগঞ্জ
বগুড়ার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম কয়েকবছর ধরে আমাদের দেশে খুব আলোচিত নাম। তিনি আলোচনার থেকে সমালোচিত হয়েছেন বেশি। প্রথমে মানহীন কিছু মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সমালোচিত হন। সোশাল মিডিয়াতে ট্রলের শিকার হওয়ার মাধ্যমেই মানুষের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি পান এই তথাকথিত হিরো। তিনি মূলত একজন ডিশ ব্যবসায়ি।
সারাবছর বিভিন্নধরনের উল্টো পাল্টা মন্তব্য করে আলোচনায় থাকতে চান বা আলোচনায় চলে আসেন তিনি। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনও করেছিলেন। নির্বাচনে জয় পাওয়াতো দূরে থাক কোনরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেননি তিনি ৷ বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। নির্বাচনের দিনও সাধারন মানুষের ধাওয়া খেয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। তবে হিরো আলম এখন আর শুধু মিউজিক ভিডিওর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন। তাকে এখন বাংলাদেশের সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা যায়। “মার ছক্কা” নামের একটি ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি। “সাহসী হিরো আলম” নামের আরেকটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার সেই ছবির প্রযোজকও তিনি।
এবার হিরো আলম চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। জয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। জয় মিশা সওদাগরকে প্রশ্ন করলেন, হিরো আলম কি আপনাদের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ? হিরো আলমকে চিনতেই পারছিলেন না মিশা। তিনি বলেন, ‘ও হ্যাঁ তিনি তো আমাদের আজীবন সদস্য কিন্ত জায়েদ খান সেই ভুল ভাঙেন।’
এ সময় জায়েদ বলেন, ‘না না, আমার প্রেসিডেন্ট বুঝতে পারেননি। একজন আছে যে মিউজিক ভিডিও করে, উনার কথা বলছেন। তিনি জয়ের প্রশ্নের উত্তরে বলতে শুরু করেন না না হিরো আলম নামে আমরা কাউকে চিনি না। আমরা হিরো বলতে চিনি নায়ক রাজ রাজ্জাক, হিরো বলতে চিনি নায়ক ফারুক, হিরো বলতে চিনি আলমগীর সাহেবকে… হিরো আলম নামে কাউকে চিনি না
তবে জায়েদ খানের বক্তব্য কিছুতেই মানতে পারছেন না হিরো আলম। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়ের ওই লাইভের সঙ্গে নিজের ভিডিও জুড়ে দিয়ে বলছেন, জায়েদ খান আপনি আমাকে চেনেন না, আমি এর আগে একটা সিনেমা করেছি মার ছক্কা। আমার দ্বিতীয় ছবি সাহসী হিরো আলম। যার প্রযোজনা আমি নিজেই করেছি, নিজেই হিরো।
হিরো আলমকে ওরা তুচ্ছ করে মূল্যায়ণই দিলো না জায়েদ খান ভাই। কী বললো, ওরা নাকি হিরো আলমকে চেনে না। বললো ওই যে মিউজিক ভিডিও করে হিরো আলম। আমি জায়েদ খান ভাইকে একটা কথা বলতে চাই, আপনি যে তুচ্ছ করে কথাটা বললেন, আপনি জায়েদ খান একদিকে দাঁড়াবেন, আমি হিরো আলম একদিকে দাঁড়াবো, দেখি আপনাকে কয়জন চেনে, আর আমি হিরো আলমকে কয়জন চেনে। আপনি এইভাবে কথা বললেন না? আপনাদের এই রকম অহংকারী কথাবার্তার জন্য আজকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের পথে। জায়েদ খানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ভিডিওতে এসব কথা বলেন হিরো আলম।
এই বিষয়টি নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, হিরো আলম অনেক দিন পর একটা সুযোগ পেয়েছে আলোচনায় আসার আর সেই সুযোগটা সে দারুণভাবে লুফে নিয়েছে। সম্প্রতি তার একটা চলচ্চিত্র মুক্তি পাবার কথা রয়েছে। ছবির প্রচারোনার জন্য হলেও আলোচনায় আসার মতো কোন সুযোগ নিশ্চয় তিনি হাতছাড়া করতে চাইবেন না।