আলোকিত নারায়ণগঞ্জ
বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় নাটক ব্যাচেলর পয়েন্ট। ব্যাচেলরদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই নাটকের কাহিনী। দর্শকরা খুব আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেছে একেবারে ভিন্নধর্মী এই নাটকটি৷ বিশেষ করে দেশের নতুন প্রজন্ম খুব ভালভাবেই এই নাটকটি গ্রহন করেছে৷ সবাই এই নাটকের নতুন পর্ব দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে। যদিও এই নাটক নিয়ে অনেক সমালোচনাও আছে। এই নাটকে অনেক জায়গায় অশালীন ভাষা ব্যাবহারের অভিযোগ আছে। যদিও নাটিকের শুরুতেই বলা হয়েছে যেহেতু নাটকটি ব্যাচেলর দের কাহিনী নিয়ে তাই এখানে কিছু ১৮+ সংলাপ ব্যাবহার করা হয়েছে এবং সেই কারনের সেই সংলাপগুলোর সময় বিট শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
করোনার কারনে দীর্ঘদিন শুটিং বন্ধ ছিল তাই এই নাটকের নতুন পর্ব প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দেশের লকডাউনের মাঝে দর্শকপ্রিয় এই নাটকটি অনেকেই মিস করেছেন৷ দর্শকদের চাহিদার জন্যই জনপ্রিয় এই নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি ঈদের জন্য নির্মান করেছিলেন “ব্যাচেলর কোয়ারেন্টাইন”। ঘরে থেকেই অভিনয় শিল্পীরা নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
টেলিভিশনের ঈদ আয়োজনের অনুষ্ঠানগুলোর মাঝে এই নাটকটি বেশ সাড়া ফেলে দর্শকদের মাঝে কিন্ত এবারও সমালোচনা পিছ ছাড়েনি এই নাটকের। নাটকের কিছু সংলাপ এবং আর্টিস্টদের পরিহীত কিছু টি-শার্টের উপর লেখা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশ ট্রল হয়েছে বিষয়গুলো নিয়ে।
এই বিষয়ে একটি অনলাইন পোর্টালের সাথে কথা বলেছেন এই নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। ভাষার বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি নাটকের শুরুতে একটা ডিসক্লাইমার দিয়ে দেই। এই সিরিয়ালটা ১৮+ কিছু ডায়ালগ, কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যদি মনে করেন আপনি এই নাটক দেখে ক্ষুদ্ধ হবেন তাহলে দেখবেন না। সাধারণত ব্যাচেলর ছেলেরা একসাথে যা যা করে সেটাই এ নাটকে দেখানো হয়। এসব পরিবারকে বলা যায় না, সুতরাং পরিবার নিয়ে এই নাটক সে দেখবে না, এটা সে ব্যাক্তিগত ভাবে দেখবে। যেগুলা আমরা ব্যাচেলর জীবনে করি তাই দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমরা আমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথার মাঝে স্লেং ব্যবহার করেই থাকি। স্লেংগুলো সভ্য না তাই এখানে বিট দেওয়া হয়। বিষয়টা খারাপ বলেই এই বিটের ব্যাবহার।”
আর নাটকে ব্যবহৃত টি শার্টের লেখা নিয়ে তিনি বলেন “তার চরিত্রে দেখানো হয়েছে সে একজন সন্ত্রাসী, জেল আসামী; তার টি-শার্ট এর লেখা দেখে আপনি শিক্ষা কেনো নিবেন? আমি এখানে শিক্ষা দিতে আসিনি, বিনোদন দিতে এসেছি। বিনোদনের মাধ্যমে মাঝেমধ্যে যদি সুযোগ হয় আমি অবশ্যই শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু রাখার চেষ্টা করি। আপনার যদি মনে হয় ব্যাচেলর পয়েন্ট আপনাকে শিক্ষা দিচ্ছে না তাহলে আপনি দেখবেন না, আমি তো বলেই দিয়েছি এটি শিক্ষামূলক নাটক না। আর দেখুন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের শেষে আমরা যে বার্তাটা দিতে চেয়েছি সেটি ভাইরাল হয় নি। ভাইরাল হয়েছে টি-শার্ট এর লেখা। অথচ শেষে বোল্ড করে দেওয়া হয়ছে ‘দেশের এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে আসুন আমরা আমাদের কাছের মানুষের পাশে দাঁড়ায়’ এই লেখাটি ভাইরাল হয় নি। যারা টি-শার্ট এর লেখা নিয়ে কথা বলছে তাদের মন-মানসিকতাটাই নোংরা। শেষের লেখাটা থেকে সামান্যতম যদি শিক্ষা কেউ নিজের ভেতরে নিয়ে থাকে তবে আমি সফল। এটাকে আমি খারাপভাবে দেখছি না। মানুষ বলছে, বলবে এটাই স্বাভাবিক। আমার কাজ যারা পছন্দ করে, যার করে না আমি সবার কাছে পৌঁছাতে চাই।