আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ বিল্লাল মিয়ার ছেলে সোহানকে (২১) মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মারধরে শিকার সোহান বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দেওভোগ মাদ্রাসার শেষ মাথার গলির সেলিম মিয়ার বাড়িতে রাজিব ও রাসেলের হোসিয়ারীতে প্রোডাকশনে অপারেটর হিসাবে কাজ করে সোহান, বিবাদী হাবিব, মোতালেব ও মোঃ দুখু । বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় এবং কারেন্ট না থাকার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় সোহান নিজ বাড়িতে চলে আসে। এমতাবস্থায় বিবাদীরা সোহানকে ফোন করে হোসিয়ারীতে আসতে বলে। হোসিয়ারীতে আসলে তারা সকলে মিলে সোহানকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে এবং কপালে কেচি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে ৪ নং বিবাদী রাজিব রক্তাক্ত অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায় এবং সোহানকে নিকটস্থ ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তারপর সোহানকে রাজিবের বাসায় নিয়ে শুইয়ে দেয় এবং রাজিবের স্ত্রী ঝামেলা হতে পারে আন্দাজ করে সোহানের রক্ত মাখা গেঞ্জি খুলে নিয়ে ধুয়ে দেয়। পরবর্তীতে সোহানের মা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে ৪ নং বিবাদী ও তার স্ত্রী সোহানের মা ও সোহানকে বেশী বাড়াবাড়ি করতে না করে। বাড়াবাড়ি করলে খবর আছে বলে হুমকি দেয়।
পরে সোহানরর মা সোহানকে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে সোহান ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে ১ নং বিবাদী মোঃ হাবিব (২৫), ২ নং বিবাদী মোঃ মোতালেব (৪০), ৩ নং বিবাদী মোঃ দুখু (২৫), ৪ নং বিবাদী মোঃ রাজিব (৪০) ও ৫ নং বিবাদী মোঃ রাসেল (৩৫) সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে।