আলোকিত নারায়ণগঞ্জ,বিনোদন ডেস্কঃ
আটবার চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশের কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর মারা গেছেন৷ ৬ জুলাই সোমবার সন্ধায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোনের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কিংবদন্তী এই সঙ্গীতশিল্পী দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা সহায়তা করেছিলেন। প্রায় ৯ মাস পর সিঙ্গাপুর থেকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ১১ জুন রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন তিনি। সপ্তাহখানেক মিরপুরে থাকার পর রাজশাহীতে তার বোনের বাসায় চলে যান। কিছুদিন ধরেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ গতকাল তার মৃত্যুর খবরও ছড়িয়ে পড়ে। পরে তার পরিবার থেকে জানানো হয় বেঁচে আছেন কিংবদন্তি এন্ড্রু কিশোর৷ তবে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য দোয়া চাওয়া হয়৷ আজ সন্ধায় সত্যি সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। তার ইচ্ছা ছিল দেশের মাটিতে তার যেন মৃত্যু হয়। সৃষ্টিকর্তা যেন তার মনের আশা পুরন করলেন। চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও তার মৃত্যু দেশের মাটিতেই হল।
অসংখ্য কালজয়ী গানের গায়ক এন্ড্রু কিশোর প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করেন ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায় কন্ঠ দেয়ার মাধ্যমে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে গেয়েছেন অসংখ্য গান৷ নায়ক রাজ রাজ্জাক থেকে শুরু করে বাংলা সিনেমার প্রায় সকল নায়ক তার গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন। তার গানে ঠোঁট মিলায়নি এমন নায়ক খুঁজে বের করা যে কারও জন্য কঠিন ব্যাপার৷ তিনি মোট আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান গেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। মানুষের জীবন ক্ষনস্থায়ী। জন্ম নিলে মারা যেতেই হবে। মানুষের জীবন ক্ষনস্থায়ী হলেও মানুষ তার কর্ম দিয়ে মৃত্যুর পরও বেচে থাকতে পারে। এন্ড্রু কিশোরও তেমন একজন মানুষ। তিনি তার জীবনে যে কালজয়ী গানগুলো গেয়েছেন তার সেই কালজয়ী গানগুলো তাকে তার ভক্তদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে আজীবন। সংক্ষেপে বলতে গেলে বাংলা গান যতদিন থাকবে এই জনপ্রিয় ও কালজয়ীগান গুলো তাকে বাচিয়ে রাখবে ততিদিন।