আলোকিত নারায়ণগঞ্জ, স্পোর্টস ডেস্কঃ
করোনার তান্ডবে পৃথিবীর সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে বাদ যায়নি ক্রীড়াঙ্গনও। দীর্ঘদিন সবকিছু বন্ধ থাকার পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে৷ দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত মাসে দর্শক শুন্য মাঠে ফিরেছে ফুটবল। প্রায় সব বড় লিগ মাঠে ফিরেছে। অপরদিকে অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হতে থাকে ক্রিকেট ভক্তদের জন্য৷ মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকেই থমকে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ সিডনিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে খেলে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। যেখানে ৭১ রানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। সেটিই ছিল সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তারপরই করোনার কারণে সিরিজটি স্থগিত হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচও এরপর দেখা যায়নি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আজ মাঠে ফিরছে ক্রিকেট। ১১৭ দিনের অপেক্ষার পালা আজ শেষ হতে যাচ্ছে৷ ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে আজ বিকাল ৪ টায় শুরু হয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড বনাম ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মধ্যে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
এই সিরিজ খেলার জন্য বেশকিছুদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ডে পৌছায়। তারা ইংল্যান্ডে এসে প্রথমেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকে। তারপর তারা অনুশীলনের জন্য মাঠে নামে।
মাঠে খেলা ফিরলেও দর্শকরা মাঠে বসে উপভোগ করতে পারবে না। সকল ক্রিকেট ভক্তদের টেলিভিশনের পর্দায় উপভোগ করতে হবে এই টেস্ট ম্যাচ। এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে বাঁচতে ক্রিকেটার, আম্পায়ার, স্টাফ, ধারাভাষ্যকার সবার জন্য করা হচ্ছে সুরক্ষিত ও জীবাণুমুক্ত পরিবেশ। সাউদাম্পটনে যে মাঠে খেলা হবে তার পাশেই হোটেল। সেখানেই থাকছেন ক্রিকেটার, আম্পায়ার, স্টাফ, ধারাভাষ্যকারসহ সবাই।
এছাড়া বলে লালা ব্যাবহার করতে পারবে না বোলাররা। লালা ব্যবহার করলে পেনাল্টি রানের নিয়ম করা হয়েছে। এছাড়া করোনাকালীন এই সময়ে মাঠের ক্রিকেট যাতে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় সেজন্য আইসিসি নতুন কিছু নিয়ম ক্রিকেট চালু করেছে৷
নিয়মগুলো হলোঃ
১- কোভিড-১৯ বদলি!
★শুধুমাত্র টেষ্ট ক্রিকেট খেলা চলাকালীন যদি কোন খেলোয়াড়ের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা যায় তবে তাকে ইমিডিয়েটলি মাঠ থেকে উঠিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে! তবে তার পরিবর্তে আরেকজনকে বদলি হিসেবে নামানো হবে৷
২- বলে থু-থু বা লালা ব্যবহার করা যাবে না!
★লালা’র মাধ্যমে করোনা ছড়ায় বিধায় কোন ফিল্ডার/বোলার বল শাইন করার জন্য থুথু ব্যবহার করতে পারবেন না! ১ম বার লালা ব্যবহার করলে আম্পায়ার সতর্ক করে দিবেন কিন্তু যদি এই কাজ ২ বার করা হয় তো ব্যাটিং দলের রানের সাথে যোগ হবে আরও অতিরিক্ত ৫ রান।
৩- দেশীয় আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করা!
★এই করোনাক্রান্তির সময়ে যাতে করে বাইরের দেশ থেকে আসা আম্পায়ারেরা কোন ঝুঁকিতে না পরেন সেজন্য হোস্ট টিমকে নিজ দেশের স্থানীয় ২ জন আম্পায়ারদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করতে হবে।
৪- ৩ টা ডিআরএস!
★শুধুমাত্র টেষ্ট ক্রিকেটেই নিজ দেশের আম্পায়ারদের মধ্যকার ত্রুটিহীনতা করতেই এই সিদ্ধান্ত।
৫- বাড়তি স্পন্সর নেওয়ার সুযোগ!
★ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি!
এখন দেখার বিষয় করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ইংল্যান্ডের মতো সকল ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে কত দ্রুত ক্রিকেট ফেরাতে পারে আইসিসি৷