আলোকিত নারায়ণগঞ্জ, স্পোর্টস ডেস্কঃ
দীর্ঘদিন যাবত মাঠে খেলা নেই। খেলোয়াড়রা হাসফাস করছে মাঠে ফেরার জন্য। আমাদের দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে সকল খেলাধুলার কার্যক্রম। ধীরে ধীরে দেশের সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও শিক্ষা ক্ষেত্র ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের কার্যক্রম বন্ধ আছে এখনও। ঈদ উল আযহার কিছুদিন আগে থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ব্যাক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এবার সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষন কার্যক্রমের অনুমতি দিল বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তবে খেলোধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করতে মানতে হবে ১০টি শর্ত। সেই শর্তগুলো হলঃ
১. খেলাধুলা শুরুর আগে খেলার মাঠ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুর পুর্বে করোনা প্রতিরোধক সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গ্লাভস, জীবানুনাশক এবং নন কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সংরক্ষন করে সংক্রমন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বিষয়টি তদারকি ও বাস্তবায়নের দায়িত্বের জন্য একজনকে নির্দিষ্ট করা সংশ্লিষ্ট কর্মীদের স্বাস্থবিধি প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
২. সীমিত আকারে প্রশিক্ষণ ও খেলাধুলা আয়োজন করা।
৩. খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট সবার নিয়মিত স্বাস্থ পরীক্ষা করাতে হবে। ক্যাম্প শুরুর পুর্বে প্রয়োজনবোধে সবার করোনা টেস্ট করাতে হবে।
৪. খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষনকালীন ক্যাম্পে অবস্থানের সময় স্বাস্থবিধি মেনে থাকার ব্যাবস্থা ও প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যাবস্থা করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে খাবার গ্রহন ও খাবারের থালা বাসন পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত করতে হবে।
৫. খেলা ও প্রশিক্ষনের সময় ব্যাক্তিগত পানির বোতল ও তোয়ালে ব্যাবহার করতে হবে। ব্যাক্তগত সরঞ্জাম ও জামা-কাপড় নিজস্ব ব্যাগে রাখতে হবে। টিস্যু, রুমাল বা অন্যান্য ব্যবহৃত উপকরন যেমন, প্লাস্টার, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি তাৎক্ষণিকভাবে উপযুক্ত পাত্রে (মুখবন্ধ ময়লার পাত্র) ফেলে দিতে হবে।
৬. অধিক জনসমাগম না করে সীমিত আকারে খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে। মাঠে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় দর্শকদের সারিবদ্ধভাবে পরস্পর হতে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি দুইজন দর্শকের মাঝে এক সিট খালি রাখতে হবে।
৭. খেলার মাঠে প্রবেশ পথে খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং বহিরাগত দর্শনার্থীদের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হবে, তাদের মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
৮. খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক/কোচ এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে কোভিড-১৯ এর সন্দেহভাজন কোনও রোগী থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. খেলার মাঠের আবর্জনা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে এবং আবর্জনা সংরক্ষণকারী পাত্র প্রতিদিন জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
১০. স্টেডিয়ামে আগত সবাইকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করার জন্য সহজে দৃশ্যমান হয় এমন স্থানে বিলবোর্ড, রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে।