আলোকিত নারায়নগঞ্জঃ
আইনজীবীর চেম্বারে তরুনী ধর্ষনের একটি মামলায় দিদার ও মুন্না নামের দুই যুবককে আসামী করে মামলা করা হয়। যার মধ্যে মুন্নাকে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও মূলত মুন্না নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির তালিকাভূক্ত কোন সদস্য নয়, পূর্বেও ছিল না। মুন্না একজন টাউট, বাটপার, দালাল। যে টাউট, বাটপারী আর দালালী করেই চলে এমনই বক্তব্য দিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক তৌহিদ হাসান। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ফেইসবুকে পরিচয়ের সুত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আইনজীবীর কামরায় ডেকে এনে আইনজীবীর সহোযোগির (মুহুরী) সহায়তায় এক তরুনীকে ধর্ষন করেছে লম্পট প্রেমিক। এ ঘটনায় ধর্ষিতা তরুনী বৃহস্পতিবার(২০ আগস্ট) বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার(১৫) আগস্ট দুপুর একটায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পিছনে এস,এম করিমের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর কামরায়।এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার চর ভৈরবী গ্রামের কালু সৈয়ালের পুত্র লম্পট প্রেমিক দিদার(২২) ও ফতুল্লা থানার কায়েমপুরের মৃত শরীফ সরদারের পুত্র আইনজীবীর সহকারী( মুহুরী) মুন্না(২৩)।
ঘটনার বিবরনীতে ধর্ষিতা তরুনীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি(তদন্ত) শফিক জানান,তল্লা বড় মসজিদ এলাকায় বসবাসকারী তরুনীর সাথে ধর্ষক দিদারের ফেইসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়।এর সুত্র ধরে তারা ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং সহ মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করতো ।গত ১৫ আগস্ট দিদার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধর্ষিতা তরুনীকে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর কামরায় ডেকে এনে আইনজীবীর সহকারী ( মুহুরী) মুন্নার সহোযোগিতায় ধর্ষন করে।এ ঘটনায় ধর্ষিতা তরুনী বাদী হয়ে ধর্ষনের ঘটনায় সহোযোগিতা করার অভিযোগ এনে আইনজীবীর সহকারী(মুহরী)মুন্না ও ধর্ষনের অভিযোগ এনে লম্পট প্রেমিক দিদার কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।মামলা দায়েরের পর পুলিশ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে লম্পট প্রেমিক দিদার কে এবং আইনজীবীর সহকারী মুন্না কে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলে তিনি জানান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান,আইনজীবীর সহকারীর সহায়তায় আইনজীবীর কামরায় এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।ধর্ষনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আইনজীবীর সহকারী সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহ মুঠোফোনে বলেন,গ্রেফতারকৃত মুন্না তার সহোযোগি হিসেবে কাজ করতো সত্যি।তবে এ ঘটনার সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।