আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ঃ
শীতলক্ষ্যা নদীর রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া দড়িকান্দি এলাকার গোলাম দস্তগীর গাজী সেতু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় গাজী সেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় রূপগঞ্জে লঞ্চে যেতে হতো। আমরাও গেছি একসময়। এখন সড়ক পথ হয়ে গেছে। রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যে নতুন সেতুটি নির্মাণ হলো এটি রূপগঞ্জ উপজেলার দুটি অংশ সংযোগ করবে।এই সেতুর মাধ্যমে কিন্তু ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-সিলেট অভিমুখে যাওয়া একদম সহজ হবে। সিলেটের রাস্তায় ঢুকেই সেখান থেকেই কিন্তু আবার পদ্মা সেতুতে যাওয়া সহজ হয়ে যাবে। কাজেই পদ্মা সেতুতে যাওয়ার কিন্তু অনেকগুলি রাস্তা খোলে যাবে। সেদিক থেকে আমি মনে করি দক্ষিণ অঞ্চলের সাথেও একটা যোগাযোগ একদম চট্টগ্রাম বা সিলেট পর্যন্ত একটা চমৎকার সংযোগ হবে।
রোববার (২২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় নারায়ণগঞ্জ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আরো যুক্ত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা থেকে রূপগঞ্জ পর্যন্ত আমরা কিন্তু একটা বড় সড়কও তৈরি করে দিচ্ছি। এই যে যোগাযোগটা যার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ভালো হবে।আর সবচেয়ে সুখবর হচ্ছে যারা জামদানী তৈরি করে তারা মহাখুশি। কারণ জামদানীর সূতা, কাঁচামাল আনা-নেয়া করা, তারা যে জামদানী তৈরি করবে সেইগুলো বাজারজাত করা তাদের জন্য খুব সুবিধা হয়ে যাবে। আর আমরা যারা একটু জামদানী পড়ি তাদের জন্যতো আরও সুখবর। ভালো জামদানী আমরা পাবো। সুন্দরভাবে তৈরিও হবে। আপনাদেরও খুশি হওয়া উচিৎ কারণ আপনাদের ঘরের গিন্নিরাওতো খুশি হবে।
এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম ব্যাপারী, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া, উপজেলা প্রকৌশলী এনায়েত করিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শীতলক্ষ্যা নদীর রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া দড়িকান্দি এলাকায় ৫৭৬ মিটার দৈর্ঘ্য এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৪ কোটি ৯ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। সেতু খুলে দেওয়া হলে শীতলক্ষ্যার দুই পারের মানুষের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে এবং পূর্বাচল উপশহর আর ঢাকার মধ্যে রূপগঞ্জের যোগাযোগ সহজ হবে।