আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠছে। বাবুনগরীর দল বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে আবার তারা বলে তারা নাকি রক্তের বন্যা বয়ে দিবে। তারা ১৯১৪ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্তরে বলেছিল কিছুক্ষনের মধ্যে বঙ্গভবন দখল করবে। সরকারের মূল উৎপাটন করবে। তারা কিন্তু আধা ঘন্টার মধ্যে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে ছিল মতিঝিল থেকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকে ঐক্যবদ্ধ। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করবো।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মুসলমান দেশে তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জনের ভাস্কর্য রয়েছে। আজ ষড়যন্ত্রকারী, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামাত জোট জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। মানুষকে উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশকে অশান্তির রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাচ্ছে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহুর্তে ষড়যন্ত্রকারীরা অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পুরনো এই ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতা আওয়ামী লীগ রাখে।
তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে আজকে জেগে ওঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার সংগ্রামে যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। আজকে বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কবরে থেকে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনার মাধ্যমে।
বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা আক্তার মালা, কার্যকরী সদস্য আবেদ হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি হাবিব আল মুজাহিদ পলু প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।