আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ
তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের বরখাস্তের আদেশ। মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়াও চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্টের এ বেঞ্চ।
একই সাথে স্থানীয় সরকার সচিব, রেজিস্টার জেনারেল, অতিরিক্ত সচিব, ডেপুটি রেজিস্টার, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) ও বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
এর আগে জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান এহসানকে বরখাস্ত করা হয়। এ আদেশের পরপরই আদেশটি বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান বলেন, বরখাস্তের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করি। হাইকোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ সাময়িক বরখাস্তটি আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
এহসান চেয়ারম্যান আরো বলেন, আগেই এ ঘটনায় আমি সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলাটি পিবিআইতে তদন্ত আছে। এ বিষয়ে দুদকও তদন্ত করছে। আমি অন্যায়ের সাথে আপস করবো না। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির কিছু অংশ বিক্রি করে টাকা ফেরত দিলেই বিষয়টির মীমাংসা করা যায়। কিন্তু এতে করে প্রকৃত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, প্রতারক, বিশ্বাসঘাতক সচিব পার পেয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে নারায়ণগঞ্জের বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।